সব তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগের তথ্য জানতে চায় বিএসইসি

সব তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগের তথ্য জানতে চায় বিএসইসি
তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, সেগুলোর কাছেও বিনিয়োগের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সব তফসিলি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তথ্য জানাতে বলা হলো। বিএসইসির প্রদান করা ছক অনুসারে ই-মেইলে অথবা লিখিতভাবে সরাসরিও পাঠানো যাবে। এ চিঠি হাতে পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

একইসঙ্গে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই, সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করেছে বিএসইসি।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ পরিমাণ বিনিয়োগ নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে।

তবে এর আগে মূলধনের বিপরীতে তারা বিনিয়োগ করতে পারতো। ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পরবর্তীতে আইন সংশোধন করে বিনিয়োগের নতুন নিয়ম জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশে মোট তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩১টি ব্যাংক। গত ৯ মার্চ সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দেশের ৩৩টি তফসিলি ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তাদের (সিএফও) সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, যেসব তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে, তারা শিগগিরই ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে। এতে করে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। এছাড়াও ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। এই বিশেষ তহবিল যেসব ব্যাংক গঠন করেনি, তারা দ্রুত গঠন করবে এবং যাদের ফান্ড রয়েছে, তারা সম্মিলিতভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাপোর্ট দেবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের টায়ার-১ ও টায়ার-২ অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মূলধন শক্তিশালী করার জন্য পারপিচ্যুয়াল ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের অনুমোদন সুপার ফার্স্ট গতিতে দেয়া হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত