জানা গেছে, প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে দেশি বিনিয়োগকারীরা ৫১/৫২টি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। আর বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বরাদ্ধ পেয়েছেন ৫৮/৫৯টি শেয়ার।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলে ৩ মার্চ পর্যন্ত।
কোম্পানিটির বিডিংয়ে (নিলামে) কাট-অফ প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাট-অফ প্রাইস থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অর্থাৎ আইপিওতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। গত ৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সময়ে কোম্পানিটিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বিপরীতে ১৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকার দর প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিটি শেয়ারে ২৫ টাকা করে ১৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার দর প্রস্তাব জমা পড়েছে। যাতে কোম্পানির কাট-অফ প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
জেএমআই হসপিটালের বিডিংয়ে ৩৮৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী দর প্রস্তাব করে। এরমধ্যে ১ জন সর্বনিম্ন ১৬ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া ২ জন ২২ টাকা করে, ২ জন ২৩ টাকা করে ও ১ জন ২৪ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। ওই টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, ভবন তৈরী, মেশিনারীজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৭.৭৮ টকাায় এবং পুন:মূল্যায়নসহ নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৯.৯৯ টাকায়। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৪২ টাকা।
জেএমআই হসপিটালের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।