জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ২৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে

জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ২৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে

নতুন নতুন সেবা যুক্ত হওয়ায় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) খাতে ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে ২৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।


হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রায় ৫৭ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। অন্যদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৯৩ টাকা।


সেই হিসেবে জানুয়ারির লেনদেন বেড়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকা।


এছাড়া, জানুয়ারিতে গত ডিসেম্বরের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা।


সং‌শ্লিষ্টরা জানান, তাৎক্ষণিকভা‌বে দ্রুত শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে গ্রাহক সংখ্যার স‌ঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ।


এছাড়া করোনার শুরুর পর থেকে মানুষ সরাসরি ও নগদ লেনদেনের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেশি স্বাচ্ছ্ন্দ্যবোধ করছে। পাশাপাশি এখন শ্রমিকদের বেতন বোনাস, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে।


২০২২ সালের নভেম্বর মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার। এছাড়া নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ২৮ লাখ ৮১ হাজার এবং মহিলা গ্রাহক প্রায় ৫ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার।


আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৫ হাজার।


মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অনেক সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে।


জানুয়ারিতে গত বছর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে (ক্যাশ ইন) ২২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা; উত্তোলন করা হয়েছে (ক্যাশ আউট) ১৯ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।


প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে এমএফএস থেকে ব্যক্তিহিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ২০ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।


২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (রকেট) চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়।


এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।


বিকাশের জনসংযোগ প্রধান শামসুদ্দিন ডালিম বলেন, "আমরা মহামারি বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধার শুরু করার পর থেকে দেশের সামগ্রিক আর্থিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এমএফএস লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে।"


বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো