মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিএসইসি থেকে জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া একটি চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ইনটেক লিমিটেড ব্যালেন্স শীট, আর্থিক বিবরণী, কোম্পানির সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে কিবরিয়া অ্যান্ড কোম্পানি।
এছাড়াও কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মাহবুবুল আলম, তার পরিবারের সদস্য বা নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানে ইনটেক লিমিটেডের কোন সম্পদ স্থানান্তর হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে অডিট প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক খরচ, বর্তমান সম্পদের বিবরণসহ ইনটেক যেসব রিপোর্ট জমা দিয়েছে তার বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।
কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিব, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত জানাতে এবং বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ জমা দিতে চিঠিতে অডিট কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইনটেক লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের মাত্র একবার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি নামমাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ০৫ পয়সা। পরের বছর আয় বাড়লেও ২০১৯ সালে ইপিএস ১টাকার নিচে নেমে আসে। আর ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে মাত্র ১৫ পয়সা।