বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) অনলাইনে আয়োজিত ডিএসইর এক অনানুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন অর্থ সংবাদকে বলেন, লাখ লাখ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শেয়ারবাজার। তবে করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারন ছুটির সঙ্গে সঙ্গে এই বাজারও বন্ধ রয়েছে। এতে বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রোকারেজ হাউজগুলো এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন আয় নেই। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনাদি দিতে হবে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। এছাড়া লেনদেন বন্ধ থাকার কারনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরী হচ্ছে। তাই লেনদেন চালু করার বিষয়ে আজ ডিএসইর অনানুষ্ঠানিক পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় লেনদেন চালু করার সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বলে জানান ডিএসইর এই পরিচালক। তিনি বলেন, এতে ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট লেনদেন চালুর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। সর্বোপরি আগামি ১০ মে থেকে লেনদেন চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনায় সরকারি ছুটি বাড়লেও ওইদিন লেনদেন চালু করা হবে। তবে করোনার কারনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরী হলে লেনদেন চালু করা সম্ভব হবে না। এজন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যানেজমেন্টকে আরেকটি রিপোর্ট তৈরী করার জন্য বলা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে ব্যাংকিং সময়ের স্বল্পতার সঙ্গে লেনদেন চালুর সম্ভাব্যতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়, সিডিবিএলের সক্ষমতা, স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা ইত্যাদি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে।এছাড়া বিএসইসির সম্মতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ডিএসইর এক স্বতন্ত্র পরিচালক আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে ডিএসইর আয়োজিত পর্ষদ সভায় লেনদেন চালু করার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য ম্যানেজমেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা আজকে সেই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। যার আলোকে আগামিতে সরকারি ছুটি বাড়লেও ১০ মে থেকে লেনদেন চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিএসইসির সম্মতি লাগবে। এজন্য বিএসইসিতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।