কানাডা সময় রোববার রাতে টরন্টোর ডাউন টাউনে মেরিয়ট হোটেলে ঢাকা- টরেন্টো ফ্লাইট চালু উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বিমান জাতীয় পতাকাকে বুকে ধারণ করে সারাবিশ্বে গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিমানের রুট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কানাডায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করা আমাদের জন্য মর্যাদার বিষয় ছিল। বিশ্বের অনেক বড় বড় এয়ারলাইন্স টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনা করার স্লট পায় না। কিন্তু আমাদের বিমান পেয়েছে। এটি সবার জন্য গর্বের বিষয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কানাডায় ফ্লাইট চালু করেছি। জুন মাস থেকে সপ্তাহে ৩ দিন চলবে। এই ফ্লাইট লাভজনক হবে ইনশাআল্লাহ। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে সপ্তাহে প্রতিদিনই ফ্লাইট চালু করতে পারি।
মাহবুব আলী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনাল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্য উদ্বোধন করতে পারবো। এই টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানের হবে, যাত্রীরা হিথ্রোসহ বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিমানবন্দরের মতো সেবা পাবেন এই বিমানবন্দরে। এছাড়াও পর্যটনকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসার করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, বিমান উন্নতির দিকে যাচ্ছে, আরও উন্নত হবে। টরেন্টো ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন, বিমান যেন এই রুটে লাভমান হয় সেজন্য নজর রাখতে হবে। সরকারের এটি ইতিবাচক দিক, অনেক দেশই এখনো কানাডায় ফ্লাইট চালু করতে পারেনি। আমরা গর্বিত আমরা চালু করতে পেরেছি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার প্রাদেশিক এমপিপি ডলি বেগম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।