রোববার সেই ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে আবারো শেষ হাসি হাসলো অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানের জয় তুলে নিলো অসি মেয়েরা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৫৬ রান জমা করে অস্ট্রেলিয়া।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৩৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ড্যানি ওয়াট। ৫ বলে ৪ রান করে মেগান শুটের বলে বোল্ড হন এই ওপেনার।
সপ্তম ওভারে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এবারও সেই শুটের আঘাত। ২৬ বলে ২৭ করে এলবিডব্লিউ শিকার হন বিউমন্ড। হেথার নাইটকে সাথে নিয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান জমা করেন বিউমন্ড।
দারুন শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি হেথার নাইট। ২৫ বলে ২৬ করে সাজঘরের পথ ধরেন নাইট। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৮৬ রান। এরপর ব্যাট হাতে ঝলক দেখান ন্যাট সিভার। তার ব্যাটিং ঝলকে ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭ করে ইংল্যান্ড।
তবে ব্যাট হাতে সুবিদা করতে পারেননি অন্য প্রান্তে থাকা অ্যামি জোনস। ১৮ বলে ২০ রান করে মাঠ ছাড়েন জোনস। এরপর সোফিয়া ডাঙ্কলিকে সাথে নিয়ে ইনিংস লম্বা করেন সিভার। তবে ২৩ রানের বেশী করতে পারেননি ডাঙ্কলি।
এরপর টেলএন্ডারদের নিয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সিভার। ৩৩ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২০৭ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। আর ঠীক তখনই জয়ের সুঘ্রাণ আসছিল অসি শিবিরে। তবে ব্যাক্তিগত শতক তুলে নেন সিভার। কিন্তু ততক্ষণে বিদায় নেন ইংল্যান্ডের ৮ ব্যাটার। ৩৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২২৩ রান।
একাই লড়াই চালিয়ে যান সিভার। দশ নম্বর উইকেট পড়ে গেলে ১১৯ বলে ১৪৩ রানে অপরাজিত থেকে থেমে যেত হয় সিভারকেও। ৪৩.৪ ওভারে ২৮৫ রানে থামে ইংল্যান্ড। ফলে ৭১ রানে ম্যাচ জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অসিরা। ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের সেরা হন অস্ট্রেলিয় ওপেনার অ্যালিসা হিলি।