বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাকে আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তার জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুর্নীতি দমন কমিশন বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগের মামলায় বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।
এর আগে গত বছরের ৩০ জুন গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
২৯ জুন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন সকালে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আবদুল মুহিতকে আটক করে।
ডিএসই সূত্র জানায়, স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বানকো সিকিউরিটিজে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য খতিয়ে দেখে। তখন স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং বিভাগ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা যায়। এ ঘটনায় দুদক মামলা করে। পরে এই মামলায় বিচারিক আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।