মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯’র প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে এ বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। এরপর আদেশ সংশোধনপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম ২৬ এপ্রিলের পরিবর্তে ২০ এপ্রিল পুনঃনির্ধারণ করা হলো। উল্লেখ্য যে, শুক্রবার ও শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
এর আগে গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার কথা জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ করতে এ বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাসের বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে গত ২২ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ রমজান পর্যন্ত খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত জানানো হয়।