মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল আলোচিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।
ফরহাদ বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সেশনজট থাকলেও এখন বলা যায় উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পায়। সাধারণ প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেও তাদের চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর থাকে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, এছাড়া ৩০ বছরের মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ১/২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯-এ উন্নীত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো প্রতিযোগিতার কারণ হতে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার কারণ হতে পারে।
সূত্র : ইউএনবি