এ নিয়ে চারদিনে পাঁচ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। শুক্রবার সকালে মারা যান ঢাকায় নাজির উদ্দীন নামে এক এসআই। আগে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক, ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত যে পাঁচজন মারা গেলেন, তাঁরা সবাই ডিএমপির সদস্য।
আজ ভোরে মারা যাওয়া এসআই সুলতানুল আরেফিনের করোনাভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুলতানুলের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তাঁর স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্র রয়েছে। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আজ সকাল পর্যন্ত করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪১ জনে। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, আজ দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশের ১ হাজার ২৫০ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর আইসোলেশনে আছেন ১৭৪ জন। আর করোনায় আক্রান্ত ৫৭ জন পুলিশ সদস্যকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখা থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ইউনিটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ঢাকা মহানগরীতে। সেখানে প্রতিদিনই কেউ না কেউ সংক্রমিত হচ্ছেন।