জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার মধ্য রাত থেকে উপজেলার সারি ও ডাউকি নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নলজুরি, শান্তি নগর, মুসলিম নগর, লাখের পাড়, কৈ-কান্দির পাড়, হাঁড়ি খেয়ার পাড়, ছৈলাখেল অষ্টম খন্ড, নবম খন্ড, সানকি ভাঙা, আসাম পাড়া, আসাম পাড়া হাওর, নয়াগাঙেরপাড়, মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরবাগ হাওর, ভিত্রিখেল হাওর, আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা, তিতকুল্লি এবং বুধিগাঁও হাওর গ্রামের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়ে পাঁচ শতাধিক হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
এ নিয়ে কৃষক ফিরোজ মিয়া গণমাধ্যমে জানান, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তিন দফা বন্যা হলো। প্রথম দফা বন্যার ক্ষত শুকাতে না শুকাতে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। আর দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি পুরোপুরি না কমতেই আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের জমির ধান তলিয়ে গিয়ে সবই নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক কথায় আমরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমাদের এলাকায় যে বেড়িবাঁধটি রয়েছে এটি সঠিকভাবে সংস্কার করা হতো, তাহলে হয়তো পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফসলের এতোটা ক্ষতি হতো না।
বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ডাউকি নদীর পানি কিছুটা কমলেও সারি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খবর পেয়ে বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা ইতিমধ্যে আমরা পরিদর্শন করেছি।