রোববার (৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন যে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট আছে, তারা নতুন একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। আমরা কীভাবে রোগীদের সুস্থ বলতে পারব বা তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন কী কী ক্রাইটেরিয়ায় (বৈশিষ্ট্য)। এই ক্রাইটেরিয়াতে আমরা বলব, আমাদের এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন যারা, তাদের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৬৩ জন। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগুলো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২৪ জন এবং বিভাগীয় হাসপাতালগুলো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৯ জন।’
বিভাগগুলোর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা উল্লেখ করে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মহানগরীর হাসপাতালগুলো বাদে ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলো থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালগুলো থেকে ৭২ জন, রাজশাহী থেকে দুইজন, খুলনা থেকে ছয়জন, বরিশাল থেকে ২৯ জন, সিলেট থেকে দুইজন, ময়মনসিংহ থেকে ৩১ জন এবং রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলো থেকে ২৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন।’
ঢাকা মহানগরীর চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ২৯৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২১৩ জন, ইনফেকশাস ডিজিজ হাসপাতাল থেকে আটজন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৩৮ জন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ২২ জন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ২৬ জন এবং মিরপুর লাল কুঠির হাসপাতাল থেকে চারজন সুস্থ হয়েছেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। রোববারের বুলেটিন অনুসারে, এ সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়ালো এক হাজার ৬৩ জনে।
বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টার চিত্র তুলে ধরে ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ২১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৬৬৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৫৫ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও দুজন। এদের একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছর, অপরজন ষাটোর্ধ্ব। একজন নারায়ণগঞ্জের, অপরজন রংপুরের বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭ জনে।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।