৮ মে থেকে সীমিত পরিসরে আকাশ পথে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার আভাস দেওয়ায় সীমিত পরিসরে বাস ও ট্রেন চলাচলেরও নির্দেশনা আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর চিন্তা হলেও কতটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ২৪ মার্চ অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ মার্চ থেকে সব গণপরিবহন সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ ছুটি তিন দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করার আভাস মিলেছে।
তবে সাধারণ ছুটি থাকলেও ইতিমধ্যে সীমিত পরিসরে গার্মেন্টস কারখানা খুলেছে। সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁসহ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার পথে হাঁটছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার গণপরিবহনও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে।
সূত্র বলছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বাহন চালুর ব্যাপারেই বিবেচনা করছে। দ্বিতীয় ধাপে গণপরিবহন সীমিত আকারে চালুর বিবেচনা করছে। এছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ৭০-৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে।
স্টেশনের পরিবর্তে অনলাইনে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের। সরকারের ঘোষণা পেলে বাস্তবায়নে যাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর গণপরিবহন সচল হতে থাকলে শেষভাগে সুযোগ দেওয়া হতে পারে নৌপথে যাত্রী পরিবহন। তবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে সেই সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আপাতত গণপরিবহন চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা তাকিয়ে আছি সরকার প্রধানের দিকে। সরকার অনুমতি দিলেই আমরা কেবল বাস চালাবো।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান বলেন, সরকার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত দিলেই কেবল ট্রেন চলবে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।