পুঁজিবাজারে চালু হচ্ছে এটিবি প্লাটফর্ম

পুঁজিবাজারে চালু হচ্ছে এটিবি প্লাটফর্ম
আগামী জুনের আগেই দেশের পুঁজিবাজারে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন এই প্লাটফর্মে লেনদেন চালু করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অনেকাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে।

এই বোর্ড চালু করে কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষে মুম্বাই স্টক একচেঞ্জের সঙ্গে ডিএসই একটি চুক্তি করতে চায়। জুনের আগেই এই চুক্তি সম্পন্ন করে নতুন এই বোর্ডে লেনদেন শুরু করতে পারবে বলে জানিয়েছে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তির পরই দেশের পুঁজিবাজারে নতুন প্লাটফর্মে লেনদেন শুরু করতে পারবেন। এজন্য খুব শিগগির একটি প্রতিনিধি দল ভারতের মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে যাবে ডিএসই।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, আমরা আশা করছি জুন মাসের মধ্যেই ডিএসইতে এটিবি চালু করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, খুব শিগগির একটি প্রতিনিধি দল বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ সফর করবে। এর পর তাদের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তির আলোকে এটিবি চালু করতে দুদেশের স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বিনিময় হবে।

বেশ কয়েক বছর যাবত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) নামে একটি বিকল্প লেনদেন প্লাটফর্ম গড়ে তুলছে চাইছে। স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির প্লাটফর্মের বাইরে থাকা সব ধরনের সিকিউরিটিজ নতুন এই বিকল্প প্লাটফর্মে হাতবদল হবে।

এটিবি প্লাটফর্মের আওতায় শেয়ারবাজারের মূল বোর্ড ও ন্যুনতম ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন রয়েছে, এমন স্বল্প মূলধনি কোম্পানি বাদে বাকি সব ধরনের শেয়ার লেনদেন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের দ্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সে সিকিউরিটিজের সংজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

অর্থাৎ ১৯২০ সালের সিকিউরিটিজ আইনে সংজ্ঞায়িত যেকোনো ধরনের সরকারি সিকিউরিটিজ, কোম্পানির বন্ধকিকৃত সম্পদ, হস্তান্তরযোগ্য শেয়ার, স্ক্রিপ, নোট, ডিবেঞ্চার, ডিবেঞ্চারস স্টক, বন্ড, বিনিয়োগ চুক্তি, ডেরিভেটিভ, কমোডিটি ফিউচারস কন্ট্রাক্ট ও অপশনস কন্ট্রাক্ট নতুন এই প্লাটফর্মের আওতায় লেনদেন করা যাবে।

তবে মূলধন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এটিবিতে তালিকাভুক্ত হওয়া যাবে না। অর্থাৎ এই প্লাটফর্মের তালিকাভুক্ত হলে শেয়ার সংখ্যা বাড়বে না। শুধু একটি লেনদেন প্লাটফর্মের হিসেবে বিক্রেতার অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ক্রেতার শেয়ার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এটিবি। এই প্লাটফর্মের সিকিউরিটিজকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ হিসেবে অভিহিত করা হবে। মূল বোর্ডের মতো এখানে দ্বৈত তালিকাভুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

স্টক ডিলার কিংবা স্টক ব্রোকারের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদিত প্রক্রিয়ায় এটিবিতে থাকা সিকিউরিটিজের লেনদেন সম্পন্ন হবে। সিকিউরিটিজের ধরন অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জ এটিবির লেনদেন প্লাটফর্মের শ্রেণীকরণ করবে। এক্ষেত্রে অকশন ও নেগোশিয়েশন নামে দুটি শ্রেণী থাকবে।

স্টক এক্সচেঞ্জ এটিবির সিকিউরিটিজের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের ফি, কমিশন ও চার্জ নির্ধারণ করবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে এক্সচেঞ্জ এটিবির সিকিউরিটিজের জন্য প্রতিবেদন জমা, ডিসক্লোজার ও তথ্য প্রদানের শর্তাবলি নির্ধারণ করবে। কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে এক্সচেঞ্জ এই আইনের আওতায় এটিবি অপারেশনাল হ্যান্ডবুক প্রকাশ করবে, যা এই আইনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ডিএসই জানিয়েছে, এটিবি চালুর ফলে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বন্ড, সুকুক এবং বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন করা যাবে।

এটিবি একটি স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা, যেখানে সব ধরনের বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করতে পারবে। লেনদেন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি ডিএসইর বিদ্যমান লেনদেন ব্যবস্থার অনুরূপ হবে বলে স্টক এক্সচেঞ্জটি জানিয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ইবনে সিনা ফার্মার লভ্যাংশ ঘোষণা
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স
তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
ব্লকে ৬১ কোটি টাকার লেনদেন
জিকিউ বলপেনের সর্বোচ্চ দরপতন
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
লেনদেনের শীর্ষে সোনালী পেপার
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা
চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন