শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রশিদ আহমদ নামে স্থানীয় এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তিনি সেন্টমাটিন দ্বীপের ৩নং ওয়ার্ডের ডৈইল পাড়ার বাসিন্দা।
রশিদ বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালে জাল নিয়ে সাগরে নামি। জাল তুলতেই বড় আকারের কোরাল মাছটি উঠে আসে। পরে ওজন করে দেখি ১৪০ কেজি (সাড়ে তিন মণ)।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে মাছ ধরছি। এর আগে ৫-১০ কেজি ওজনের মাছ জালে এসেছে। কিন্তু এটাই প্রথম সাড়ে তিন মণ ওজনের মাছ পাওয়া। মাছটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, জেনেছি শনিবার সকালে সেন্টমার্টিনের জেলে রশিদ আহমদ তার সঙ্গীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলে। জাল তোলার সময় বিরাট একটি কোরাল মাছ দেখতে পেয়ে জেলেরা উল্লাসে মেতে ওঠে। মাছটি ঘাটে এনে ওজন করলে ৩ মণ ২০ কেজি হয়। মূল্যবান এবং সুস্বাদু এই মাছের প্রতি কেজির দাম ৮০০-১০০০ টাকা। পুরো মাছটি স্থানীয় ফিশারি মালিকরা দেড় লাখ টাকায় কিনেছে।
তিনি আরও বলেন, মাছটি তীরে তোলার পর তথ্যটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখতে শতশত লোক ভিড় জমায়। কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের কারণে সাগরে তেমন মাছ মিলছে না। তবে দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এরপরই এখন উপকূলের কাছে নানা জাতের মাছ মিলছে।
এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসাইন জানান, শনিবার সকালে সেন্টমার্টিনে এক জেলের টানা জালে ১৪০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। এমন মাছ কালেভদ্রে ধরা পড়ে।
তার মতে, এখন মাছের প্রজনন মৌসুম, কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ছে। গত দুদিন হালকা বৃষ্টির পানি পেয়ে গভীর সমুদ্রের এ মাছ হয়তো চলাচল করতে করতে দ্বীপের কাছাকাছি এসে পড়েছিল।