পাশাপাশি সব গণমাধ্যমের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। সোমবার এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখা এবং শিল্প কারখানায় জনবলকে কাজে বহাল রাখার প্রয়োজনে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রবর্তণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান প্রক্রিয়া যাতে সহজ ও সাবলীল হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাবনা পেশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা যাদের জন্য প্রযোজ্য তাদের মধ্যে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো এবং ব্যাংকারদের সাথে সম্পর্ক অন্যান্যদের তুলনায় অনেক কম। ফলে এই সমস্ত উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে যদি স্বাভাবিক অবস্থার মানদণ্ড নিরীক্ষা, আর্থিক বিবরণী, আইসিআরআরএস পর্যালোচনাপূর্বক উদ্যোক্তা নির্বাচন করা হয় তাহলে অনেক উদ্যোক্তা যোগ্যতা হারাবে এবং ঋণও বিনিয়োগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে ঋণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ ও চাহিদার সাথে সমন্বয় না হলে তার ফলাফলও কাঙ্খিত হবে না’। তিনি বলেন, মিডিয়া, সংবাদপত্র, টিভি, ট্রাক, কার্গো, লঞ্চ ইত্যাদির ক্ষেত্রে এবং ব্যাকওয়ার্ড রফতানির ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনের ব্যাংক তালিকার ভিত্তিতে ও সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা কোনো রকম জটিলতা ছাড়া প্রদানের দাবি জানায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এ নেতা।