এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জামাতে নামাজ আদায় করেছেন।
দুই রাকাত নামাজের পর ঈদের বিশেষ খুতবা পড়া হয়। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রধান জামাত। মোনাজাতে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
এর আগে, নামাজ আদায়ের জন্য সকাল ৭টা থেকে থেকে জায়নামাজ হাতে ঈদগাহে ভিড় করেন মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। দুই বছর পর এবার তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করলেন। এবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও নামাজে আসা অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে আশপাশের সড়কে ডাইভারশন দেয় পুলিশ। ফলে মুসল্লিদের কিছুটা পথ হেঁটে মাঠে প্রবেশ করতে হয়েছে। ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় মুসল্লিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সকাল থেকেই ঈদগাহ এলাকায় এবং প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন। এছাড়াও প্রত্যেককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এর আগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আরও চারটি জামাত সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।