কারও খিচুড়ি হয় বেশি নরম আবার কোনোটির স্বাদ ততটা মজার হয় না। তবে রেসিপি অনুযায়ী রান্না করলে খুব সহজে আর সঠিকভাবে রান্না করতে পারবেন মাসকলাই ডালের খিচুড়ি।
উপকরণ
১. পোলাও চাল দেড় কাপ
২. মাশকলাই ডাল আধা কাপ টেলে নেওয়া
৩. পেঁয়াজ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ
৪. দারুচিনি ২ টুকরা
৫. এলাচ ২টি
৬. তেজপাতা ১টি
৭. আদা বাটা ১ চা চামচ
৮. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৯. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
১০. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
১১. ভাঁজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ
১২. লবণ স্বাদমতো
১৩. গরম পানি ৩ কাপ
১৪. সাদা তেল ৪ টেবিল চামচ ফোঁড়নের জন্য
১৫. সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ
১৬. তেজপাতা ১টি
১৭. পেঁয়াজ কুঁচি ১/৪ কাপ
১৮. কাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি ও
১৯. শুকনা মরিচ ২টি।
পদ্ধতি
প্রথমে পোলাও চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এরপর প্যানে তেল গরম করে গরম মসলা ও পেঁয়াজ ভেজে নিন। তারপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে সামান্য পানি দিন।
এরপর লবণ, মরিচ-হলুদ গুঁড়া এবং ভাঁজা জিরার গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। মসলার তেল উপরে উঠে এলে চাল ও ডাল দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। একটু ভাঁজা ভাঁজা হয়ে এলে এর মধ্যে ৩ কাপ গরম পানি ঢেলে দিন।
আলাদা একটি পাত্রে ফোঁড়নের জন্য তেল গরম দিন। তেল গরম হলে তেলের মধ্যে একে একে তেজপাতা, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ মরিচ একটু ভাঁজা ভাঁজা হয়ে এলে তেলসহ সব উপকরণ ঢেলে দিয়ে খিচুড়ি ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। এসময় চুলার আঁচ একদম কমিয়ে খিচুড়ি দমে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য।
এই ২০ মিনিটের মধ্যে পাত্রের ঢাকনা একবারও খুলবেন না। ২০ মিনিট হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন। তারপর পাত্রের ঢাকনা খুলে হালকা হাতে খিচুড়ি একটু নেড়ে আবার ঢেকে রেখে কিছুকষণ পর পরিবেশন করুন।