তেলের দাম বৃদ্ধি মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যর্থতা ঠিক, কারণ (ব্যবসায়ীদের) বলেছিলাম রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা ঈদের সাতদিন সেই কথা রাখেনি। আমাদের সব অর্গানাইজেশনকে বলেছি, যে দাম নির্ধারিত আছে সেটি যাতে ঠিক রাখা হয়। আগামী জুন মাস থেকে ১ কোটি পরিবারকে টিসিবির পণ্য দেবো। তেলের সিন্ডিকেটের কোনো নমুনা পাইনি। রিটেইলার, ডিলাররা সুযোগটা নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো রিটেইলার থেকে ডিলার পর্যায়ে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে।
তেলের দাম পরবর্তীতে সমন্বয় কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগে এক দেড় মাসের মধ্যে বসতাম। যখন তেলের দাম কমানোর সুযোগ থাকবে তখন আমরা আবার বসবো।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ বলছে না গ্লোবাল মার্কেটে তেলের দাম কতটা বেড়েছে। দাম বেড়েছে সেটা সত্য, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে সেটাও সত্য। কিন্তু কারণটা জানালে মানুষ বুঝতে পারে। তেলের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ বাইরের প্রতি ডিপেন্ডেড থাকতে হয়।
ঈদের আগে বাজারে তেল না পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখ দাম ঠিক করেছিলাম। চিটাগাং পোর্টে যে প্রাইজে মাল রিলিজ হয়, সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়। ২০ মার্চ অনুরোধ করায় (তেলে) সরকার ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে। তখন ৮ টাকা দাম কমানো হয়। এর মধ্যে আমরা রমজান মাসে তেলের দাম না বাড়াতে অনুরোধ করায় এতে তারা (ব্যবসায়ীরা) একমত হয়েছিল। মানুষের কথা বিবেচনা করে দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। তাদের বলা হয়েছিল রমজানের পর বসবো। যারা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক তথ্য নিয়েছি। কিন্তু পথে ঝামেলা হয়েছে। রিটেইলার ও ডিলাররা কিন্তু জানতো রমজানের পর তেলের দাম বেড়ে ফিক্সআপ হবে।
তিনি বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে অনেকে তেল ধরে রাখলো। কারচুপিটা এখানে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যেন এগুলো না হয় সেটি দেখতে হবে। আমার মনে হচ্ছে, তাদের অনুরোধ করা ঠিক হয়নি যে রমজানে তেলের দাম না বাড়ানোর। কারণ তাদের যদি একটি দাম বৃদ্ধি করে দিতাম তাহলে এটি হতো না। ভারতে তেলের দাম কত? তাদের দামও ১০-১২ টাকা বেশি আছে।
ব্যবসায়ীরা অনেক সুযোগ নিয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটর করবো। তবে ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে চাই না। মানুষের ক্রাইসিস হলে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। ব্যবসায়ীরা মাঝে অনেকে সুযোগ নিয়েছে, কারণ তারা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে। সেজন্য তারা মজুত করে রেখেছিল। রিটেইলার অপরাধ করলে সংগঠনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, আমরা যদি মাঝে আরেকবার দাম বাড়াতাম, এবং এখন বাড়ালে ৩৮ টাকাই তেলের দাম বাড়তো। তিন মাসের ব্যবধানে বাড়ায় এটি হয়েছে।