নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতার অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে রানারের এ ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
মইনুল বলেন, ‘ওই অভিযোগের গত ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটি মাসিক দাখিলপত্রে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া তাদের মূসক ফাঁকির আলামত থাকায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত কিছু বাণিজ্যিক ও মূসক সংশ্লিষ্ট দলিলাদি জব্দ করা হয়। এসব তথ্য ভ্যাট দলিলাদির সঙ্গে ব্যাপক অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়।’
তদন্ত সূত্র বলছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত রানার অটোমোবাইলস ১ হাজার ৮৩৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮১ হাজার ৮১৭ টাকার পণ্য বিক্রি করে। তবে তারা মাসিক রিটার্নে বিক্রি দেখিয়েছে সর্বমোট এক হাজার ৭৬৪ কোটি দুই লাখ ৩৩ হাজার ১৫৬ টাকা। অর্থাৎ রিটার্ন ও প্রকৃত বিক্রয়ে পার্থক্য রয়েছে ৭০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ টাকা।
প্রকৃত বিক্রয়ের তথ্য গোপন রাখায় ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৬ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে জানিয়ে ড. মইনুল খান বলেন, ‘এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২ শতাংশ হারে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৩৯৫ টাকা সুদ হয়েছে। তাদের ওপর সর্বমোট ২০ কোটি ৮৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭১ টাকা প্রযোজ্য।’