গত ১০ দিনে আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৩২ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আভিযানিক টিম।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলের মজুতদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে মজুত তেল উদ্ধার হবে সেসব প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করা হবে।
বুধবার (১১ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাজীপুর ও ঢাকা জেলায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং মো. শরিফুল ইসলাম।
অভিযানে গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের মেসার্স তাহের অ্যান্ড সন্স থেকে আগের দামের ৬ হাজার ৭৩২ লিটার এবং মেসার্স নোয়াখালী বাণিজ্য বিতান থেকে ৫ হাজার ৯১৬ লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত আগ্রহী ক্রেতাদের মাঝে সয়াবিন ১ লিটারের বোতল ১৬০, ২ লিটার ৩১৮ টাকা, ৫ লিটার ৭৬০ টাকা এবং খোলা ১৪৩ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়া পাম অয়েল ১৩৩ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া এদিন ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্প সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে আগের দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করে মজুত করা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করার অপরাধে মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে টিটু অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত আগ্রহী ক্রেতাদের মাঝে মজুতকৃত এসব তেল আগের দামে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুটি জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।