গতকাল বুধবার (১১ মে) রাজধানীতে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। যা তিন-চার দিন আগেও ছিল ২৫-২৬ টাকা। আর বিদেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৭-২৮ টাকা। গতকাল তা ৩২-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক শ্যামবাজারের আবদুল মাজেদ জানান, গত তিন দিনে তাদের বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজে বেড়েছে ৭-৮ টাকা। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতিদিনই কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত সোমবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩২ টাকায়, দুই দিনের ব্যবধানে গতকাল ওই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৩৯ টাকায়। একই পেঁয়াজ খুচরায় ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে সামনে দাম আরও বেড়ে যাবে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ার অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আড়তদারেরা বলেন, গত কয়েক দিন খাতুনগঞ্জে ভারতীয় কোনো পেঁয়াজ ঢোকেনি। তাহলে আগে কেনা পেঁয়াজের দাম এখন প্রতিদিন কেন বাড়ছে। সরবরাহ সংকটকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও বাজারে বাড়ছে আদা ও রসুনের দাম। খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১৬ টাকায়, অন্যদিকে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। অথচ দু-এক দিন আগেও প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকায়, আদা বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জ সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ এখন আড়তগুলোতে আছে। চাহিদা স্বাভাবিক থাকলে এগুলো এক সপ্তাহ পর্যন্ত যাবে। এর মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক না হলে সংকট তৈরি হবে। আগে আমদানি করা পেঁয়াজ এখন কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের পর এখন খাতুনগঞ্জে শ্রমিকসংকট চলছে। তাঁদের পেছনে বেশি খরচ পড়ছে। পরিবহন ভাড়াও বেশি পড়ছে। তাই দাম একটু বাড়ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আবার কমে আসবে।