শনিবার (১৪ মে) দিনগত রাতে টাউনসভিল শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের হার্ভে রেঞ্জে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ এটি তদন্ত করছে।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, শনিবার রাত ১১টার পর সাইমন্ডসের গাড়িটি অ্যালিস রিভার ব্রিজের কাছে হার্ভে রেঞ্জ রোডে চলার সময় হঠাৎ এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে নিচে গড়িয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার জরুরি পরিষেবাগুলো তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গুরুতর আঘাতের কারণে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪৬ বছর বয়সী এ অজি ক্রিকেটার।
এর আগে, ৫২ বছর বয়সে লেগস্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন ও ৭৪ বছর বয়সে উইকেটরক্ষক ব্যাটার রড মার্শ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তাদের মৃত্যুর মাত্র দুই মাস পরেই সাইমন্ডসের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
সাইমন্ডসের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ার ল্যাচলান হ্যান্ডারসন শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তার আরেকটি সেরা সম্পদ হারালো। অ্যান্ড্রু এ প্রজন্মের সেরা এক প্রতিভা ছিলেন, যিনি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য ও কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ইতিহাস হয়ে থাকবেন৷
'অ্যান্ড্রু অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণার নাম ছিলেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের পক্ষ থেকে অ্যান্ড্রুর পরিবার, সতীর্থ ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি আমরা।'
সাইমন্ডস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট খেলে ৪০ দশমিক ৬১ গড়ে এক হাজার ৪৬২ রান করেছেন। এছাড় অফ স্পিন ও মিডিয়াম পেস বোলিং করে ২৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।
২০০৮ সালের সিডনি টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তার দুর্দান্ত ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে ১২২ রানের বড় জয় এনে দেয়। এ ম্যাচটিই পরে মাঙ্কিগেট কাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত খেলায় রূপ নেয়।
ম্যাচ শেষে সাইমন্ডস অভিযোগ করেন, খেলা চলাকালীন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং তাকে 'বানর' বলে সম্বোধন করেছেন। পরে এর জন্য হরভজনকে প্রাথমিকভাবে তিন ম্যাচের জন্য বরখাস্ত কর হয়। কিন্তু ভারতীয় দল সেই শাস্তি না মেনে সিরিজ শেষ না করেই দেশে ফিরে যাওয়ার হুমকি দেয়।
ক্রিকেটের শর্ট-ফর্মের (টি২০) খেলায় দর্শকপ্রিয় ও বিগ-হিটিং এ অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে পাঁচ হাজার ৮৮ রানের পাশাপাশি ১৩৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।