ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই তিন দিনের মধ্যে হজ প্যাকেজ অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করে নিবন্ধিত হতে হবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের তিনটি প্যাকেজে নিবন্ধিত যারা এবার হজ করবেন, ১৬ থেকে ১৮ মের মধ্যে যে কোনো নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে তাদের ২০২২ সালের যে কোনো একটি প্যাকেজে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে।
২০২০ সালের চেয়ে এবারের প্যাকেজে খরচ বেড়েছে। ফলে তখন যারা নিবন্ধন করেছেন, এবার তাদের বাড়তি টাকা সোনালী ব্যাংক জমা দিয়ে নিবন্ধন সারতে হবে। নিবন্ধনের পর কেউ যদি হজে যেতে না পারেন, তাহলে শুধু বিমান ভাড়া এবং খাবার বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত পাবেন। তবে বিমানের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর হজযাত্রা বাতিল করলে সেই টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন না।
নিবন্ধনের জন্য আবশ্যিকভাবে পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করে পূরণ করতে হবে নিবন্ধন তথ্য। পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে হজের দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাস, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। হজযাত্রীর দাখিল করা পাসপোর্ট যাচাই করা হবে অনলাইনে।
সরকারিভাবে হজে যেতে প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা, আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা ।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য ন্যূনতম খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। কোরবানির জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে।