পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে (পিএলএফএস) সংঘটিত ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের’ ঘটনায় ‘নীরব ভূমিকার’ অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন কোম্পানিটির আমানতকারীরা।
রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র ছয় হাজার আমানতকারীর পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক ও কনভেনর মো. আতিকুর রহমান আতিক। পরে আমানতকারীদের আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আমানতকারীগণদের কাউন্সিল’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড গ্রাহকদের ৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আমানতকারীরা। তাদের অভিযোগ, বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের আমলে দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক শাহআলম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের অর্থ লুচপাটে সহায়তা করেছেন।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের তার পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই বলে মনে করেন আমানতকারীরা। ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহআলমেরও পুরো পেনশনের টাকা নিয়ে অবসরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা গভর্নর ফজলে কবিরের পদত্যাগ দাবি করেন।
এ সময় আমানতকারী রানা ঘোষ, সামিনা চৌধুরীসহ শতাধিক আমানতকারী উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পিপলস লিজিংয়ের কয়েকশ আমানতকারী মানববন্ধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অযোগ্যতা, অদক্ষতা, খামখেয়ালিপনা ও কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের টাকা লুট হয়েছে। আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আমরা ব্যর্থ গর্ভনরের পদত্যাগ চাই। সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক শাহআলম এবং পিপলস লিজিংয়ের সাবেক এমডি পি কে হালদারের বিচার চাই। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমানতের অর্থ ফেরত পেতে আমরা অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আতিকুর রহমান আতিক আরও বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে ফারমার্স ব্যাংকের অবসায়ন না করে পদ্মা ব্যাংক নামে পুনর্গঠন করেছে এবং বিসিআই ব্যাংককে অবসায়ন না করে ইস্টার্ন ব্যাংক নামে পুনর্গঠন করে গ্রাহকের আমানত ফিরিয়ে দিয়েছে, সেভাবেই পিপলস লিজিং পুনর্গঠন সহযোগিতা করে দ্রুত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিয়ে সরকার তার নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি নিরীহ আমানতকারীদের আমাদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আমরা মনে করছি।