আইনজীবী রানা বলেন, সুলতান মোল্লা ডেল্টা লাইফে প্রশাসক থাকা অবস্থায় কোনো দরপত্র আহ্বান ছাড়া নিয়মবর্হিভূতভাবে এক কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার মাস্ক কেনেন। নিয়ম অনুসারে ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যের কিছু কিনতে গেলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগে ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। যার কোনোটিই করেননি সুলতান উল-আবেদীন।
ক্রয় করা মাস্কের ১৯ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করলেও বাকি ১ লাখ ৯৬ হাজার পিস মাস্কের কোনো হদিস মেলেনি। ফলে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে সুলতান মোল্লাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদ জানান, সুলতান মোল্লা আজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, ডেল্টা লাইফ ২০২১ সালের মে মাসে লাজিম মিডিয়া থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার মাস্ক কেনে। প্রতিটি ৫০ টাকা করে এই মাস্কের মূল্য ধরা হয় এক কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যে সময় এই মাস্ক কেনা হয়, সে সময় ডেল্টা লাইফে প্রশাসক হিসেবে ছিলেন আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান মোল্লা।
এই মাস্ক অসৎ উদ্দেশে ব্যক্তিগত লাভের জন্য সুলতান মোল্লার নির্দেশে কেনা হয়েছে বলে মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে মামলা করেন ডেল্টা লাইফের পরিচালক জেয়াদ হোসেন। সুলতান মোল্লার সঙ্গে ডেল্টা লাইফের ডিএমডি মনজুরে মাওলা, ইভিপি কামরুল হক এবং এম হাফিজুর রহমান খান এ কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ করেন এই পরিচালক।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রথম দুই কোটি টাকা উৎকোচ দাবি করেন। পরিচলনা পর্ষদ অপারগতা প্রকাশ করলে পরে এক কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দেওয়ায় ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সুলতান মোল্লাকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে সুলতান মোল্লা, মো. কামরুল হক এবং মো. মনজুরে মাওলার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৮/৪২০/৩৪ ধারায় অপরাধ সত্য প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।