পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত তহবিলের ‘অবশিষ্ট আদায় করা’ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃতহবিলে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সোমবার এ দুই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলের আওতায় বিনিয়োগকারীদের ঋণ হিসেবে দেওয়া আদায় করা আরও ১৫৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে যোগ হবে।
এ নিয়ে এ তহবিলের আকার দাঁড়াবে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত এ তহবিল থেকে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়ে তা বিনিয়োগকারীদের দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি।
এছাড়া, ২০১৩ সালে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন তফসিল বা নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ আরোপ করে ৯০০ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়, যার মেয়াদ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা ছিল। এরপর তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তিন বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পোষাতে এ তহবিল গঠন করেছিল সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের র্চিঠিতে বলা হয়, "৯০০ কোটি টাকা দিয়ে সৃষ্ট ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল' এর আদায়কৃত ১৫৩ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুর্নবিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সঙ্গে যুক্তকরণ ও তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হল।“
পাশাপাশি এ তহবিল থেকে নেওয়া সর্বশেষ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।