সোহেল রানা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে ফ্রান্সের স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন।
সোহেল রানার তিন বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ প্যারিসের নিকটবর্তী লাকর্নভ এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, সোহলে রানা প্যারিসের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাসতিলের একটি রেস্টুরেন্টে রাতে কাজ করতেন। কাজ শেষে শনিবার ভোর ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে বের হন। এ সময় রেস্টুরেন্টের সামনে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে।
এ সময় তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান। পরে পথচারীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার আর জ্ঞান ফেরেনি।
সোহেল রানার চাচাত ভাই আরশাদ আকাশ বৃহস্পতিবার বলেন, সোহেল রানা একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে তার বিরোধ থাকার কথা না। আফ্রিকানরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই হামলা করেছে বলে আমাদের ধারণা। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার মরদেহ দেশে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ওই দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটলেও যারা জড়িত তাদের সামান্য শাস্তি দেওয়া হয়। আমরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড চাই।