ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পাশাপাশি আজ লেনদেনের পরিমাণ গতকালের থেকে কিছুটা বেড়েছে। আজ ডিএসইতে ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগেরদিন থেকে ২৬ কোটি ৮৫ হাজার টাকা বেশি। গতকাল ডিএসইতে ৫১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৩টির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৪০ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন সিএসইতে ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) সূচক বৃদ্ধির পর মঙ্গল ও বুধবার টানা দুদিন দরপতন হয় সূচকের। এর আগে টানা আট কার্যদিবস দরপতন হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। সব মিলে আজ বাদে ঈদপরবর্তী ১৪ কর্মদিবস লেনদেনের এর মধ্যে ১১ কর্মদিবসেই দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছিলো ২৯ হাজার ৫৪৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
ধারাবাহিক এই পতন টেনে ধরতেই গতকাল শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ২ শতাংশ নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আজ থেকে পুঁজিবাজারে কার্যকর হয়েছে। এর ফলেই বাজার উত্থানে ফিরেছে বলছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই) নিম্নগামী মূল্য পরিবর্তন সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৫% (পাঁচ শতাংশ) ছিলো। এর পরিবর্তে ২% (দুই শতাংশ) আগের ট্রেডিং দিনের বন্ধ মূল্যের উপর ভিত্তি করে কার্যকর করা হয়।
বিএসইসির নতুন নির্দেশনার ফলে আজ থেকে কোন শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমতে পারবে। তবে নতুন নিয়মে শেয়ারদর আগের মতো সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে। এর আগে ২০ এপ্রিল এক আদেশে সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করেছিল বিএসইসি।