গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবাণীতে আইজিপি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জনগণের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করছে। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে আজ জীবন দিলেন পুলিশ সদস্য জালাল উদ্দীন। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে জীবন দিয়ে জনসেবা এবং ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আমি এ গর্বিত পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
জালাল উদ্দীন খোকার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন আইজিপি। তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আইজিপি আরও বলেন, প্রিয় সহকর্মীকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা দেশ ও জনগণের সেবায় অবিচল থাকবো, দৃঢ় মনোবলের সঙ্গে এগিয়ে যাবো।
আইজিপি বলেন, করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সেবায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে বেসরকারি হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১৬ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় গত ২৬ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।