মঙ্গলবার (১২ মে) পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ’র তথ্যে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দেশের পোশাক কারখানায় ৫৫ জন শ্রমিকের মাঝে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৩৭টি পোশাক কারখানার ৬০ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, বিজিএমইএ’র উদ্যোগে পোশাক কারখানাগুলোতে করোনা আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে কাজ করছে কয়েকটি টিম। তাদের সংগ্রহ করা তথ্যে গত ২৮ এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানায় প্রথম একজনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। পরের দিন ২৯ এপ্রিল ২ জনের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা দেয়। ২ মে ৬ জনের মধ্যে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়। ৩ মে ৩ জন, ৪ মে ২ জন, ৫ মে ১ জন, ৬ মে ১২ জন, ৭ মে ১ জন, ১০ মে ১৫ জন, ১১ মে ২ জন ও ১২ মে ১০ জনের মধ্যে করেনা উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে ১২ মে ১০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৩৭ টি পোশাক কারখানায় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে আশুলিয়ার ২০টি কারখানায় ৩৭ জন, গাজীপুরের ১০টি কারখানায় ১৩ জন, চট্টগ্রামের ৩টি কারখানায় ৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ৩টি কারখানায় ৫ জন ও ময়মনসিংহের একটি কারখানায় ২ জন শ্রমিকের শরীরে করোনা উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সবশেষ ১২ মে’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে দেশে মোট ২৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৬৯ জন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৬৬০ জনে।