রোববার (১৯ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে নৌরুটের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত হন খোকন শিকদার (৪০) নামে এক গাড়িচালক।
নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে। তিনি একটি পিকাপভ্যানের চালক ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএ সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটের শুল্ক আদায়কারী তৌফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, ফেরি সুফিয়া কামাল ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল। একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝিকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিলো ফেরি বেগম রোকেয়া। দুটি ফেরি পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি ফেরি সামনের অংশ। বিকল হয়ে যায় বেগম রোকেয়ার গাড়ি ওঠা-নামার র্যাম্প। এ সময় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা একটি গাড়িতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১০ জন। এতে ফেরিতে থাকা ১০/১২টি গাড়ির ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে সুফিয়া কামাল শিমুলিয়া ঘাটে ও বেগম রোকেয়া মাঝিকান্দি ঘাটে পৌঁছে নোঙর করেছে। অন্যান্য যাত্রীরা নিরাপদ রয়েছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোনো যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।