তিনি বলেন, বন্ধুবৎসল জনগণ, উষ্ণ আতিথেয়তা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং নান্দনিক সব পুরাকীর্তি নিয়ে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ‘ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্স’ এর ১১তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন হলো সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প, যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এ লক্ষ্যে নিয়মিত এই সম্মেলন আয়োজনের ফলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও সমন্বয় আরও জোরদার হবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসার এবং দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এটি নতুন সুযোগ ও দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে একত্রে কাজ করতে হবে। পর্যটন খাতের পরিপূর্ণ বিকাশে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই আরও বেশি সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন শুরু হওয়া ‘ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্স’ এর ১১তম অধিবেশন আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর নেতৃত্বে আরও অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের।
এ অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্স-এর সর্বশেষ সম্মেলনটি ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।