এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শুক্র ও শনিবার শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায়ও ব্যাংক খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এর জারি করা একাধিক সার্কুলারে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ জুলাইয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সান্ধ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার করতে বলা হয়েছে। এর পরের দুদিন ৮ ও ৯ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) কোরবানির হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে। এসব শাখায় সকাল ১০টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী বুথ স্থাপন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদুল আজহার আগে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগামী শুক্রবার (৮ জুলাই) ও শনিবার (৯ জুলাই) ব্যাংক খোলা থাকবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আসন্ন ঈদুল-আজহার আগে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রয়ের এবং ওই শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৮ ও ৯ জুলাই পূর্ণ দিবস খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ওই দুই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তবে, ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উল্লিখিত এলাকার বাইরে অবস্থিত কোনো ব্যাংক শাখার ওপর চেক দেওয়া যাবে না।’