এছাড়া এর কার্যকারীতা যাচাইয়ে এক হাজার মানুষের দেহে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে। গবেষকরা এর কার্যকারীতা নিয়ে বেশ আশাবাদী।
বিবিসি শুক্রবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বানরের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও তা মানুষের ক্ষেত্রেও যে শতভাগ কার্যকর হবে তার নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না। অক্সফোর্ডের তৈরি ওই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে বানরের দেহে প্রয়োগ করা হয়।
গবেষক দল প্রথমে একদল বানরের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটানোর কাজ করে। তবে এদের মধ্যে আগে থেকেই ৬টি বানরের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, অন্যান্য বানরগুলো রোগে আক্রান্ত হলেও এসব বানরের ফুসফুস ও নাকমুখে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ায়নি।
সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে বানরের ওপর যৌথভাবে পরীক্ষা চালিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) গবেষকরা।
যে বানরগুলোর দেহে এ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল সেগুলো হলো একজাতের ছোটো লেজওয়ালা বানর। এদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মানুষের মতোই।
ভ্যাকসিনটির এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি কিংবা অপর কোনো বিজ্ঞানী দল দ্বারা এটি পুনঃপরীক্ষা (রিভিউ) করা হয়নি।
তবে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্টিফেন ইভান্স বলছেন, এই পরীক্ষার মান অত্যন্ত উন্নত। আর এটি খুব আশাব্যঞ্জক বটে।
কিংস কলেজের ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ড. পেনি ওয়ার্ড বলেছেন, বানরগুলোর ওপর ভ্যাকসিনটি কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলেনি, যা ভ্যাকসিনটি উদ্ধাবনে সহায়ক হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়ার পর বানরগুলোর দেহে নিউমোনিয়ার লক্ষণ না দেখতে পাওয়াটা আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয়।
এদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ওই একই ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যে এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। যা এখনো চলছে। এছাড়াও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আরও ১০৭টি সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।