ইংল্যান্ডের পক্ষে ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছেন স্টোকস। ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে। মঙ্গলবার চেস্টার লি স্ট্রিটে নিজের হোম গ্রাউন্ড সিট ইউনিক রিভারসাইডে শেষ ম্যাচটি খেলবেন স্টোকস।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব দেখায়। সুপার ওভারে গড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর ওই ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্টোকস।
২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় স্টোকসের। প্রায় ১১ বছরের ক্যারিয়ারে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ২৯১৯ রান এবং ৭৪ উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার।
এক বিশাল টুইটবার্তায় স্টোকস তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ডারহামে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলব। আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘আমার জন্য সিদ্ধান্তটা ভীষণ কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলাটা আমি প্রতি মিনিটই উপভোগ করেছি। আমাদের অবিশ্বাস্য এক ভ্রমণ ছিল।’
কিন্তু কেন হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত? স্টোকস জানালেন, ব্যস্ত ক্রিকেটের ধকল থেকে বের হতেই একটি ফরম্যাট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন কেবল টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাবতে চান।
স্টোকস তার টুইটে লিখেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা কঠিন হলেও এটা মেনে নেওয়া কঠিন নয় যে আমি আমার সতীর্থদের এই ফরম্যাটে শতভাগ দিতে পারছি না। যারা ইংল্যান্ডের এই জার্সিটা পরেন, তাদের কাছ থেকে দল কখনই কম আশা করে না।’
‘তিনটি ফরম্যাট এই মুহূর্তে আমার জন্য এখন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। ব্যস্ত সূচির জন্য শুধু আমার শরীর যে কুলোচ্ছে না, তাই নয়; আমার মনে হচ্ছে আমি আরেকজন খেলোয়াড়ের জায়গা ধরে আছি যে কিনা জস (অধিনায়ক) এবং তার দলকে আরও বেশি দিতে পারবে।’
‘আমি টেস্ট ক্রিকেটে সব কিছু দিতে প্রস্তুত। এই মুহুর্তে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও পরিপূর্ণ মনোযোগ দিতে পারব’-যোগ করেন স্টোকস।