সোমবার (১৮ জুলাই) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বুস্টার ডোজ দিবসের ক্যাম্পেইন। সুষ্ঠুভাবে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে ১৬ হাজার ১৮১টি টিকাকেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনে একযোগে ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদানকর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ ও প্রথম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে দ্বিতীয় এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ প্রদান করেছে যা সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে দেশে পাঁচ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) মোট ২ দশমিক ৭৮ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রয়েছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।