বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তবে কোন সময়ের মধ্যে এসব কোম্পানির শেয়ার ছাড়া সম্ভব হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।
আহম মুস্তফা কামাল বলেন, পুঁজিবাজারে ভাল শেয়ারের সরবরাহের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে লাভজনক সরকারি কোম্পানি, যাদের মৌলভিত্তি শক্ত সেগুলোকে বাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ডিএসই’র দাবি ছিল কিছু ভাল শেয়ার বাজারে আনার জন্য। আমি আশ্বস্ত করেছি, দিনক্ষণ দিয়ে বলতে পারব না কবে নিয়ে আসব, যেসব সরকারি শেয়ারের মৌলিক এলাকা ভাল, সেসব শেয়ার বাজারে নিয়ে আসব। তাদের একটা দাবি ছিল আমরা তাদের ট্যাক্স কেটে নিই। ওই এডভান্সড ইনকাম ট্যাক্সের ওই হারটা আমরা কমাতে পারি কি না। আমরা বলেছি, যতটুকু সম্ভব আমরা বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, তাদের আরেকটা দাবি ছিল, এক্সেস টু ব্যাংকিং ফাইন্যান্স। যেমনভাবে কোনো ক্লায়েন্ট ব্যাংকে গিয়ে বড় করতে পারে টাকা, ঠিক তেমনিভাবে পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তারাও সেই সুযোগটা যেন পায়। আমরা বলেছি, আমাদের জানা মতে এই মুহূর্তে দেশের কারও জন্যই রেস্ট্রিকশন নাই যে, ব্যাংকে যেতে পারবে না। ব্যাংক ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের ভিত্তিতে অন্যরা যেভাবে লোন পায়, সুযোগ-সুবিধা পায়, পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্যও সেই সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
সিকিউরিটি দিতে হবে, পুঁজিবাজারের আরও ভাল দিক হলো, অতীতে তারা লোন নিয়ে সরকারের সেই টাকা শোধ দিয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি যে, তাদের জন্য আরও সুযোগ ভাল। সেজন্য আমরা বলেছি, তাদেরকে এলাউ করা হবে। আমরা কারেন্সি ডিভ্যালু করব না। কারেন্সি ডিভ্যালু করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের রেমিট্যান্স খাতও বলা হচ্ছে ডিভ্যালু করার জন্য। রেমিট্যান্স খাতে আমাদের ডিসেম্বর মাসে গ্রোথ হলো ৪০ শতাংশ। এক মাসে এক খাতে এত গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি), এটা ইতিহাস। এটা আর কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা এই খাতকে ২ শতাংশ ইনসেনটিভ দিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা এই সক্ষমতা অর্জন করেছি। সুতরাং কোনো খাতেই কারেন্সি ডিভ্যালু করার সম্ভাবনা নাই।’
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো, পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে আনয়ন, টি-বন্ডের লেনদেন যথা শীঘ্র চালুকরণ, বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করা, গ্রামীণফোন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বন্দ্বের দ্রুত নিষ্পত্তি, ডিএসই এবং পুঁজিবাজারের লেনদেনের ওপর কর হ্রাস, অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইসিবি ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠনের দাবি তুলে ধরেন।