রোববার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত। এই শহরটি দেশের আইডল সিটি হবে হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম এই শহরকে কোনোভাবেই অবমূল্যায়ন করার উপায় নেই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখা প্রয়োজন। যদি কার্যকর না হয় অথবা যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আপনারা খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। খালের উপর দোকান-পাট বানিয়েছেন। এগুলোর কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না। এসময় সব খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্জ্য সমস্যা বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থালি বর্জ্যের পাশাপাশি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, নির্মাণসামগ্রীর বর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আর তা হলো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন। খুব শিগগির ঢাকা, গাজীপুর এবং চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করীম চৌধুরী। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।