বুধবার (২০ মে) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ নানা কারণে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা স্বাভাবিকভাবে দান করতে পারছেন না। এতে দানসহ অন্যান্য সাহায্য কমে যাওয়ায় মসজিদে আয় কমে গেছে। ফলে মসজিদের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদানে অনুমোদন প্রদান করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে এ অনুদান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা কার্যালয়ের পরিচালক/উপ-পরিচালকের ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হলো। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক/উপ-পরিচালকের সমন্বয়ে অনুদানের চেক বিতরণ করতে হবে। তালিকাভুক্ত মসজিদের অনুকূলে যথাযথ প্রাপ্তিস্বীকার গ্রহণপূর্বক অনুদানের অর্থ/চেক বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রাপ্তিস্বীকার পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
অনুমোদিত তালিকায় কোনো প্রকৃত মসজিদের তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়নসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে হবে।
জরুরি ভিত্তিতে অনুদানের অর্থ বিতরণ করে ১৫ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।