তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী

তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
তামাক উৎপাদন ও তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধ বা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

তিনি বলেছেন, এই শিল্পের উদ্যোক্তারা সরকারের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করেন। তারা সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ জাতীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরকারকে দেওয়া রাজস্বের বিষয়টিও ভাবতে হবে।

একইভাবে এ শিল্পের সঙ্গে দেশের হাজার হাজার প্রান্তিক চাষি এবং শ্রমিকের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও জড়িত। তাদের কথাও ভাবতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তামাক পণ্য নিষিদ্ধের অনুরোধ করে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেই চিঠির জবাবে আমরা এই বিষয়টি তাদের জানিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, ‘তামাক যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তা বোঝাতে হলে এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মোটিভেশন ছাড়া শুধুমাত্র সাময়িক উৎপাদন বন্ধ করে করোনাকালে ধূমপান প্রতিরোধ করা যাবে না।’ এতে চোরাচালান বাড়বে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বুধবার (২০ মে) বিকালে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে তামাক উৎপাদন এবং তামাক জাতীয় পণ্য সাময়িকভাবে নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তামাকজাত শিল্পের উৎপাদন বন্ধ করলে, তা হবে জাতীয়ভাবে মারাত্মক ক্ষতি।

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, টোব্যাকো বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ শিল্পের সঙ্গে দেশের হাজার হাজার প্রান্তিক চাষি এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি জড়িত। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও শিল্পোন্নত দেশগুলোসহ গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত তামাক শিল্প চালু রয়েছে। বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ক্ষেত্রে এককভাবে এ শিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমাদের জাতীয় রাজস্ব আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ এই শিল্পখাত থেকে আসে। সামগ্রিক বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ শিল্প চালু রাখা যুক্তিসঙ্গত হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয় মনে করে।

মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই শিল্প হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হলে, একদিকে যেমন দেশ বিরাট অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে, অন্যদিকে তেমনই বিপুল পরিমাণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগও বন্ধ হয়ে যাবে। আবার তামাক পাতা না কিনলে প্রান্তিক চাষিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা দেবে। ফলে আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি