এসব আম দিয়ে নিরাপদভাবে আচার তৈরি করা যাবে। তাই সরকারের মাধ্যমে এসব আম কিনে নেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী কৃষির ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আমের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার আমগুলোর একটু বেশি ক্ষতি হয়েছে। সাতক্ষীরার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ আম ঝরে গেছে। ওই এলাকার ৪ হাজার হেক্টর জমির আমের মধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমির আম নামিয়ে নিয়েছে। বাকি ৩ হাজার হেক্টরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য আমরা ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি যে, এ আমগুলো কিনে আমরা ত্রাণের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না।’
আম কিনে ত্রাণের মাধ্যমে দেওয়া যায় কি-না এটা নিয়ে আপনারা সরকারের মধ্যে আলোচনা করছেন কিন্তু এ আমতো পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি তাহলে এ আম ত্রাণে দিয়েই বা কী হবে এমন প্রশ্নে জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আম বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরার। সাতক্ষীরায় আম আগাম আসে। দুই তিনদিন ঘরে থাকলে এ আমগুলো পেকে যাবে। তাই এটা দেয়া যায়। তবে চাপাইনবাবগঞ্জসহ অন্য সব আম আচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাণ গ্রুপ আবার আমের আচার তৈরি করে। তাই আমরা প্রাণকে এ আম নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের ইউএনও এবং কৃষি কর্মকর্তারা একটু উদ্যোগ নিয়ে যেন আমটা চাষিদের নিকট থেকে কেনার ব্যবস্থা করেন। সেজন্য আমরা প্রাণের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রাণ এবং এসিআই যারা আচার তৈরি করে তাদের নিকট আমটা বিক্রি করা যায় কি-না। এ তৎপরতা গ্রহণে আমরা ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দিয়েছি আমগুলো কেনা যায় কিনা। পারবো কতটা জানি না তবে আমাদের এ প্রচেষ্টা রয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে পোল্ট্রি, দুদ্ধ খামার ও মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্য খামারিরা মাছ বিক্রি করতে পারছে না। মাছ বিক্রি করতে পারছে না তাই পুকুরে নতুন পোনাও ছাড়তে পারছে না। এ সমস্যাগুলো সমাধানে কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছি।