অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে (গুজব) আইনটা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আরেকটা গুজব আছে বাজারে। সেটি হচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। বলেছি যে এটা করব না। করার দরকার নেই।’
লিখিত প্রস্তাবে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধিসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে ১১টি বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি, পরামর্শ ও সহযোগিতা চায় ডিএসই। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সরকারি কিছু ভালো কোম্পানিকে বাজারমুখী করা এবং বাজার ও লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু কর কমানোর আশ্বাস দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা করেছি কীভাবে বাজারকে আরও গতিশীল করা যায়। তাদের কিছু দাবি আছে, যেমন কর কমানো। যত দূর সম্ভব তা বিবেচনা করব।
ডিএসইর অন্যতম দাবি হচ্ছে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে ঋণ দেওয়া ও ঋণ মওকুফের ক্ষেত্রে ব্যাংক আইন যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে এবং ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় এনে উদ্যোক্তাদের বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য এ ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করেননি।
ডিএসই আরও বলেছে, পুঁজিবাজারের বড় বাধা হচ্ছে ভালো মৌল ভিত্তির কোম্পানিগুলোর বাজারে আসতে না চাওয়া। আগে বহুবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, ‘ভালো মৌল ভিত্তির প্রতিষ্ঠান বাজারে আনব। তবে দিনক্ষণ দিয়ে পারব না।’
ডিএসইর অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালুর ব্যবস্থা করা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) ও গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের দ্রুত নিষ্পত্তি, ডিএসইর করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি। তবে এগুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি।