আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় শুনানি করেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। রিটে তেলের দাম বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট স্থগিত, বাতিল ও প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।
জ্বালানি সচিব, জ্বালানি উপ সচিব ও বিইআরসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে নৌযানে যাত্রীভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে পুনর্নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর হবে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।
গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকে ডিজেল, পেট্রল, করোসিন, ও অকটেনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪ টাকা, কেরোসিনে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা, পেট্রল ৪৪ টাকা দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির এক দিনের মধ্যেই বাসভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (৭ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ২০ পয়সা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলার (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ টাকা ৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৮ টাকা নির্ধারিত হলো।