জানা গেছে, এডিবি নয়টি সিটি করপোরেশন ও চারটি পৌরসভায় এডিবির অর্থায়নে পরিচালিত নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা বিতরণ প্রকল্পের আওতায় শহুরে দরিদ্রদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, কভিড-১৯ মহামারী পরিচালনায় এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিষেবা সরবরাহে সরকারের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করতে এই অনুদান সহায়তা প্রদান করে আমরা সন্তুষ্ট। এ উদ্যোগটি বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে আট মিলিয়নের বেশি শহুরে দরিদ্রের জন্য কভিড ও নন-সিভিআইডি সম্পর্কিত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের একটি মডেল হবে। এ কর্মসূচিটি কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও পরিচালনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের রোগীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের চিকিৎসা করার জন্য প্রাথমিকভাবে বড় সহায়তা করবে।
জানা গেছে, এ সহায়তা হ্যান্ডওয়াশিং স্টেশন স্থাপন ও স্ক্রিনিং বুথ স্থাপন, প্রকল্পের আওতায় কর্মরত প্রায় ২ হাজার ৭০০ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে ডব্লিউএইচওর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) স্যুট প্রদান, সিভিডি-১১ প্রতিরোধ ও পরিচালনা সম্পর্কে সচেতনতা কর্মসূচি চালু এবং প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করবে। এছাড়া কভিড-১৯ চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় সহায়তা করবে। এডিবির নগর জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ ক্ষমতা ট্রাস্ট তহবিল থেকে এ অর্থায়ন করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী অভিঘাত থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক, স্বাস্থ্য খাত ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ৭ মে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে এডিবি। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এছাড়া ৩০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলারের কনশেসনাল ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটি। একই সঙ্গে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি গ্রান্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত একটি প্রকল্প থেকে ১৩ লাখ ডলারের অর্থ সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগী দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে গত ১৩ এপ্রিল ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি সহায়তা তহবিল ঘোষণা করে এডিবি।