গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল রিপোর্টের কারণে প্রায়ই রোগীর স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় দেরি হতে দেখা যায়। এ কারণে রোগীর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এ ছাড়া রেডিওলজিস্ট, যাদের সংখ্যা এমনিতেই কম, তাদের কাজের চাপও বাড়ে। এ কারণে ক্যান্সার শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এ বিষয়ে গুগল হেলথ-এর প্রযুক্তি প্রধান শ্রাভিয়া শেঠি বলেন, ভবিষ্যতের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে মডেলটি স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে রেডিওলজিস্টদের সহায়তা করবে।’
এ ক্ষেত্রে মেমোগ্রাম দেখে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে গুগলের মডেল আরও নিখুঁত ফল দেয়। এতে বিশেষজ্ঞদের তুলনায় ভুল রিপোর্ট কম আসে বলে দাবি করেছে গুগল। খবর আইএএনএসের।
এক্স-রে ইমেজিং স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পরীক্ষা। প্রতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেই এ পরীক্ষা ৪ কোটি ২০ লাখের বেশি হয়ে থাকে।
গবেষকরা গুগলের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাজ্যে ৭৬ হাজারের বেশি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজারের বেশি নারীর মেমোগ্রাম ব্যবহার করেছেন।
পরে যুক্তরাজ্যে আরও ২৫ হাজার নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার নারীর মেমোগ্রাম এই মডেল দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। গুগল জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ব্যবস্থায় স্তন ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রে কমিয়েছে ৫.৭ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ১.২ শতাংশ। অন্যদিকে স্তন ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভুল ফলাফল কমিয়েছে ৯.৪ শতাংশ। আর যুক্তরাজ্যে কমিয়েছে ২.৭ শতাংশ। পরবর্তীতে মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের ডেটার প্রশিক্ষন দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ক্যান্সার নেই কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে আছে এমন ভুল কমেছে ৩.৫ শতাংশ এবং ক্যান্সার আছে কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে নেই এমন ভুল কমেছে ৮.১ শতাংশ। শুধু এই এক্স-রে দেখেই স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে মানব বিশেষজ্ঞদের চেয়ে এগিয়ে গেছে গুগলের এআই মডেল।