নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার দুই যাত্রী হলেন রাসেল মিয়া (২৮) ও মইন উদ্দিন (২৭)। শুক্রবার সকালে মুদ্রা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান ও উপপরিদর্শক মিঠুন কুমারের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় রাসেল ও মইনের জুতার সোলের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা চারটি বান্ডিলে মোড়ানো মোট ৮০ হাজার ডলার পাওয়া যায়। তাঁরা দুজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতেই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে নাটোর সদর থানায় পাঠানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে সদর আমলি আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসপি লিটন আরও জানান, ডলারগুলো জুতার ভেতরে এমনভাবে রাখা ছিল, খালি চোখে দেখে বোঝার কোনো উপায় ছিল না। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ সীমান্তবর্তী জেলা থেকে আগত পরিবহনগুলোর যাত্রীদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে শুরু করেছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান বলেন, রাসেল ও মইনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কিন্তু দুজনেই ঢাকায় বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের ব্যবসা করতেন। তাঁরা ভারত থেকে ডলার সংগ্রহ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন। ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার জন্য এই ডলারগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।