শনিবার বিএমএ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাদের আদর্শ ধারণ করি এবং সেটাই আমাদের বড় অস্ত্র। আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ, অন্য কেউ না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। আপনাদের (বিএনপি) মতো আমাদের প্রভু নেই।’
‘আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের স্বার্থে, আমরা বন্ধুত্ব করি আমাদের অতীতে, খারাপ সময়ে কে আমাদের সঙ্গে ছিল, এটা আমরা স্মরণ করি। কিন্তু কারো দয়ায় তো ক্ষমতায় আসিনি। আমার দেশের জনগণ আমাদের সমর্থন করেছে। আল্লাহপাকের অশেষ রহমত আছে, সেজন্যই আমরা ক্ষমতায় আছি। ইনশাআল্লাহ, ফখরুল সাহেব ও তাদের সহকর্মীরা জনমতে তলানিতে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনটা আসুক, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রমাণ পাবেন। তখন প্রমাণ পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কত উঁচুতে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে না, আপনারাই টের পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) দলের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদেরই আস্থা নেই। আপনাদের দলের অনেকেই তো আমাদের কাছে আসে। বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চান। আওয়ামী লীগের দরজাটা খুলে দিলে দেখা যাবে, যোগদানের লাইন কত বড়।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিএমএ আয়োজিত সভায় সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
বিএসএমএমইউ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রজ্জাক বলেন, ‘আমাদের কেউ যদি বলে, অমুক দেশ আমাদের স্থিতিশীল করবে, ক্ষমতায় রাখবে, এটা ভিত্তিহীন কথা। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। কাজেই আমরা কোনো দিন পার্শ্ববর্তী দেশ, বিদেশ, শক্তিশালী দেশ, পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ, আমাদের ক্ষমতায় রাখতে কাউকে আমরা তোয়াক্কা করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। আর বিএনপি যেভাবে নিজেদের কবর খুঁড়েছে, তারা কোনো দিন ক্ষমতার আসতে পারবে না। আমরা আমাদের শক্তিতে, জনগণের শক্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসব।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে নির্বাচন এই সরকারেই অধীনেই হবে। ইসি যে নির্দেশনা দেবে সেভাবে সরকার কাজ করবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। জনগণের শক্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো আওয়ামীগ লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করেন তিনি।