8194460 সারের দামে লাগাম টানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ - OrthosSongbad Archive

সারের দামে লাগাম টানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ

সারের দামে লাগাম টানতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ

সারের দামে লাগাম টানতে এবার মাঠ পর্যায়ের তদারকি জোরদার এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে সরকার। কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ও দাম বেশি নিতে না পারে সেটি তদারকি করাই থাকবে মূল উদ্দেশ্য।





এ বিষয়ে রোববার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি 'সার্বিক সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা' সভায় কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।





কৃষিসচিব বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে, কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ডিলাররা যেন বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন করে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার করতে হবে। কোন কোন ডিলার বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন না করার কারণে সার বিক্রির সময় রেশনিং করে থাকেন যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এর ফলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মাঝে এক ধরণের কৃত্রিম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। কোন ডিলার যেন নিয়মবহির্ভূতভাবে সার বিক্রিতে রেশনিং না করতে পারেন, সেজন্য ডিলারদের সতর্ক করতে হবে।





এছাড়া, রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। ডিলারে গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি বিভাগ যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। অধিক মূল্যে সার বিক্রির কোন তথ্য বা সংবাদ পাওয়া গেলে সাথে সাথেই তা রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।





সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিলারদের নিয়ে সভা করে কৃষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সবাইকে সারের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।





সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২১ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।





বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ৬ লাখ ০৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৯৬ হাজার টন।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ের ভেতর বিস্ফোরণে মন্ত্রী নিহত
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পালানোর পথে আসাদের প্লেন বিধ্বস্তের গুজব
৫০ বছর পর সিরিয়ার সীমানায় ঢুকেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
সিরিয়ার আগে যেসব দেশের স্বৈরশাসক পালিয়েছেন
বাশারের প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকছে সিরিয়া সরকারের ভার
অর্ধশতাব্দী ধরে আসাদ পরিবারের সিরিয়া শাসন
সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে হিজবুল্লাহ